Saturday, June 14, 2014

আলোকবর্তিকার গঠনতন্ত্র

অনুচ্ছেদ-১
নামকরণ
এই সংগঠন‘আলোকবর্তিকা’- ইংরেজীতে ‘Alokbortika’নামে অভিহিত হবে। সংগঠনের বার্তা হবে- সমাজের প্রয়োজনে...ইংরেজীতে-Need For Society....

অনুচ্ছেদ-২
কার্যালয়
সংগঠনের কার্যালয় চকবাজার এলাকার যেকোনো জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত হবে। সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে জেলা সদরের যে কোন সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

অনুচ্ছেদ-৩
মনোগ্রাম
সংগঠনের নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে।

অনুচ্ছেদ-৪
সংগঠনের ধরণ
আলোকবর্তিকা সম্পূর্ণ স্বাধীন,সামাজিক,অরাজনৈতিক,সেচছাসেবী ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন সংগঠন। এই সংগঠনের কোন অঙ্গসংগঠন থাকবে না বা এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করবে না।

অনুচ্ছেদ-৫
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১.আলোকবর্তিকা প্রধানত সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
২.আলোকবর্তিকা দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে বিশেষত তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে।
৩.আলোকবর্তিকা সবসময় সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের পাশে থাকবে।
৪.আলোকবর্তিকা এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করবে।
৫.আলোকবর্তিকা বেকার ও কর্মমুখী তরুণদের শর্তসাপেক্ষে তহবিল হতে ঋণ প্রদান করবে।
৬.আলোকবর্তিকা পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৭.আলোকবর্তিকা সাহিত্য,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবে।
৮.আলোকবর্তিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করবে।
৯.আলোকবর্তিকা গুণীজনদের সংবর্ধিত করবে।

অনুচ্ছেদ-৬
সদস্য

ক) কেবল মাত্র জন্মসূত্রে বাংলাদেশী এবং উৎসাহিত ও সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য,গঠনতন্ত্রের সাথে সমমনা কর্মীগণ এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে।
খ) সদস্যের শ্রেণীবিভাগ-
নিম্নরূপ চার প্রকারের সদস্য থাকবেঃ
অ) সাধারণ সদস্য: দেশের যে কোন নাগরিক ৫০ টাকা প্রদান সাপেক্ষে ফরম পূরণের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য হতে পারবেন।
আ) সহযোগী সদস্য: প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাৎসরিক নূন্যতম ২০০ টাকা প্রদান সাপেক্ষে ফরম পূরণের মাধ্যমে সহযোগী সদস্য হতে পারবেন।
ই) সম্মানিত সদস্য: স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন ব্যক্তিকে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ক্রমে সম্মানিত সদস্য পদ প্রদান করা হবে।
ঈ) আজীবন সদস্য: এককালীন ১০,০০০ টাকা প্রদান সাপেক্ষে ফরম পূরণের মাধ্যমে যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি সংগঠনের আজীবন সদস্য হতে পারবেন।
উ) প্রত্যেক সদস্যকে বাধ্যতামূলক প্রতি মাসে ৩০(ত্রিশ)টাকা হারে মাসিক ফি দিতে হবে।
ঊ) নির্বাহী পরিষদ সদস্যদের মাসিক ফি পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করে।



অনুচ্ছেদ-৭
সদস্য পদ বাতিলের/স্থগিতের নিয়মাবলী

১. যদি কোন সদস্য স্বেচ্ছায় সঠিক ও উপযুক্ত কারণ দর্শানোপূর্বক লিখিত আকারে পদত্যাগ করেন।
২. যদি মানসিক ভারসাম্য হারান।
৩. একটানা তিন মাসের মাসিক ফি প্রদান না করলে।
৪. যদি সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-আচরণ সংস্থার পরিপন্থী হয়।
৫. মৃত্যু হলে বা মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে অথবা আর্থিক অসংগতি দেখা দিলে অথবা আদালত কর্তৃক দেশের অপরাধমূলক সাজা হলে।
৬. যদি দায়িত্ব ও কর্তব্য যথারীতি পালন না করেন বা সংগঠনের কাজে নিষ্ক্রিয় ও অকর্মণ্য হয়ে পরেন।
৭. প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের প্রধান ব্যক্তিগণ সংরক্ষণ করেন।

অনুচ্ছেদ-৮
সাংগঠনিক কাঠামো
সংগঠনের তিন স্তর বিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরুপঃ
ক) উপদেষ্টা পরিষদ
খ) নির্বাহী পরিষদ
গ) সদস্য
উপদেষ্টা পরিষদের গঠন কাঠামো : নিবার্হী পরিষদ প্রয়োজনবোধে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক বা একাধিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠনমূলক পরামর্শ গ্রহণের জন্য তিন থেকে পনের সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাহী পরিষদের আমন্ত্রণক্রমে সংগঠনের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে উপদেশ বা পরামর্শ প্রদান করবেন। নির্বাহী পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদ বিলুপ্ত করতে পারবেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো
১। সভাপতি ১ জন

২। সহ-সভাপতি ২ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক ১ জন

৪। সহ-সাধারণ সম্পাদক ১ জন

৫। সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন

৬। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন

৭। প্রচার সম্পাদক ১ জন

৮। অর্থ সম্পাদক ১ জন

৯। প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১০। দপ্তর সম্পাদক ১ জন

১১। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ১ জন

১২। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৩। সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৪। আইন বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৫। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ১ জন

১৬। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৭। সাহিত্য ও গ্রনথাগার বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৮। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৯। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২০। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২১। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২২। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২৩। নির্বাহী সদস্য ১২ জন

অনুচ্ছেদ-৯
কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং যোগ্যতা
সভাপতি
১। সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৩। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৪। সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।
৫। সভাপতি সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
৬। সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
৭। কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।
৮। বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
৯। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।
১০। উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে ও সহ-সভাপতিদের সহযোগিতায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা বহন করেন।









সহ-সভাপতি

১। সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। সভাপতির সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।
৩। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৪। সংগঠনের উপ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৫। সভাপতির মতই গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
৬। সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জনে সহায়তা করবেন।


সাধারণ সম্পাদক

১। অফিস নির্বাহী হবেন ও থাকবেন। নির্বাহী পরিষদের নিকট সংগঠনের কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন।
২। সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য/ সদস্যাদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
৫। প্রশাসন ,প্রকল্প তৈরি,বাজেট তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহযোগীতা করবেন।
৬। সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খন্ডকালীন কর্মচারী নিয়োগ,কর্মচুক্তি ও ছাটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন।তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৭। সকল ধরণের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।
৮। সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন। সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট ও বাজেট পেশ করবেন।
৯। সভাপতির সাথে আলোচনা করে সভা আহ্বানের দিন ,তারিখ,সময় ও স্থান নির্ধারণসহ আলোচ্যসূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
১০। অর্থ সম্পাদক কর্তৃক মাসিক,ত্রৈমাসিক,বার্ষিক জমা খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমোদন ও পেশ করার ব্যবস্থা নিবেন।
১১। নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।


সহ-সাধারণ সম্পাদক

১। সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা প্রদান করবেন।
২। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
৩। নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।
৩। সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
৪। সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
৫। সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।
৬। সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

১। সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ।
২। সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রচার সম্পাদক

১। সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
২। সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।
৩। সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৪। প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
৫। সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় সারা জেলাময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
৬। বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।
৭। সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।


অর্থ সম্পাদক

১। সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ।
২। সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।
৩। তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।
৪। বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন।
৫। সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬। সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
৭। সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।



প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক

১। সংগঠনের স্বার্থে প্রকাশনা তার দায়িত্বে থাকবে।
২। প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখার কাজে প্রচার সম্পাদককে সাহায্য করবেন।
৩। সংগঠনের পত্রিকা প্রকাশনার প্রধান দায়িত্ব তার নিকট ন্যস্ত।


দপ্তর সম্পাদক

১। সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।
২। সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।
৩। সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।





সমাজ কল্যাণ সম্পাদক

১। মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়াবেন।
২। সমাজের নানা অসঙ্গতি সংগঠনের সভায় তুলে ধরবেন।
৩। সমাজের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা করবেন।


শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক

১। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
২। শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।


সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক

১। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
২। বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিবেন।
৩। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সুস্থ বিকাশের কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন।


আইন বিষয়ক সম্পাদক

১। সংগঠনের আইনবিভাগ পরিচালনা করবেন।
২। সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন।



তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক

১। সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে জানাবেন।
২। বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত গবেষণা করে আর্টিকেল তৈরি করবেন।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনকে আরো বেশী প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রমকে ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত প্রচার করা ও আপডেট করবেন ।
৪। সংগঠনের ওয়েবসাইটকে প্রতিনিয়ত ওয়াপে আপডেট করবেন।
৫। সংগঠনের সকল কার্যক্রমের ডিজিটাল কপি সংরক্ষন করবেন।
৬। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।





সাহিত্য ও গ্রনথাগার বিষয়ক সম্পাদক

১। ম্যাগাজিন, লিফলেট, প্যাড ইত্যাদি প্রকাশ করা এবং গ্রন্থনা করা তার প্রধান কাজ।
২। বাংলা সাহিত্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়াবলী সভায় তুলে ধরবেন।


ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক

১। আলোকবর্তিকার ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
২। ধর্মীয় সংহতি বজায় রাখতে যেকোনো পরামর্শ সভায় পেশ করবেন।

ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক

১। সংগঠনের ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
২। ক্রীড়ার উন্নয়নে যেকোনো পরামর্শ সভায় পেশ করবেন।

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক

১। দুস্থ,নিরক্ষর,অসহায়,নির্যাতিত মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন।
২। কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক

১। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।
২। আন্তর্জাতিক সংগঠন সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন এবং এর কাজের ধারা কার্যনির্বাহী পরিষদকে অবগত করবেন।

পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক

১। আলোকবর্তিকার পরিবেশবান্ধব কর্মসূচী পরিচালনা করবেন।
২। দেশে সংগঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে পরিষদকে অবগত করবেন।


নির্বাহী সদস্য

১। সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
২। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।
৩। যে কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে তার মতামত নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করতে পারবে।
৪। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা।
৫। মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সহায়তা করা।


অন্যান্য

১. সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের নির্বাহী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
২. সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
৩. নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।
৪. কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৫. সকল সদস্যকে সময়মত মাসিক ফি প্রদান করতে হবে।
৬. সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না,যা সংগঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

অনুচ্ছেদ-১০
সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলী

## অত্র সংগঠনের সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য ফি এবং মাসিক ফি সংগঠনের তহবিলের প্রধান উৎস হিসেবে গণ্য হবে। তবে শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ এককালীন দান,অনুদান বা সাহায্যও তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।
## এছাড়াও সংগঠন হতে প্রকাশিত পত্রিকা,ম্যাগাজিন বিক্রয় হতে প্রাপ্ত অর্থ সংগঠনের তহবিলে যোগ হবে।
## অন্য যেকোনো শুভ উপায়ে অর্জিত অর্থ সংগঠনের তহবিলে যোগ হবে।
## যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা গ্রহন করা যাবে না।তহবিলের সুবিধার্থে সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে যেকোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে একটি হিসেব খোলা যেতে পারে।তবে যেকোন দুই জনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
অনুচ্ছেদ-১১
অনুষ্ঠানাদি

সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন, নবীন বরণ, ইফতার পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পরিক পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।

অনুচ্ছেদ-১২
বিবিধ

নির্বাহী পরিষদের বিবেচনায় সংগঠনের কর্মকান্ড পরিচালনায় সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের জন্য কোন সদস্য/কর্মকর্তা দেওয়ানী/ফৌজদারী মোকদ্দমার সম্মুখীন হলে সংগঠন তাকে আর্থিক সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে।

No comments:

Post a Comment